ads

ICT Class-8, 1st Chapter আইসিটি ক্লাস-৮, ১ম অধ্যায়



  ১ম অধ্যায়


প্রশ্ন : আউটসাের্সিং বলতে কী বােঝ?

 উত্তর: ইন্টারনেটের বিকাশের ফলে বর্তমানে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলাের জন্য ঘরে বসে অন্য দেশের কাজ করে দেওয়ায় সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের অনেক কাজ, যেমন-ওয়েবসাইট উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, মাসিক বেতন ভাতার বিল প্রস্তুতকরণ, ওয়েবসাইটে তথ্য যােগ করা, সফটওয়্যার তৈরি ইত্যাদি অন্য দেশের কর্মীর | মাধ্যমে সম্পন্ন করে থাকে। এটিকে বলা হয় আউটসাের্সিং (Outsourcing)। ইন্টারনেট সংযোেগ থাকলে যে কেউ এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে কাজের দক্ষতার পাশাপাশি ভাষা দক্ষতাও সমানভাবে প্রয়ােজন হয়। এই সকল কাজ ইন্টারনেটে অনেক সাইটে পাওয়া যায়। এর মধ্যে | জনপ্রিয় কয়েকটি হলাে ওডেস্ক (www.odesk.com), ফ্রিল্যান্স (www.freelancer.com), SEIT (www.elance.com) বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় তিরিশ সহস্রাধিক মুক্ত পেশাজীবী এই সকল সাইটের মাধ্যমে আন্তকর্মসংস্থানে সক্ষম হয়েছে।


প্রশ্ন ২। সংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা”- উক্তিটি বিশ্লেষণ করাে।

উত্তর: "Connectivity is Productivity"- কথাটির অর্থ হলােসংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা। তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির প্রয়ােগে উৎপাদনশীলতার বৃদ্ধিকে বাঙালি শিক্ষাবিদ ও বর্তমান আমেরিকার ম্যাসাসুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনােলজি (MIT)এর অধ্যাপক ড. ইকবাল কাদির সংজ্ঞায়িত করেছেন "Connectivity is Productivity" অর্থাৎ “সংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা" কথাটি বলে। কথাটি দ্বারা বােঝানাে হয়েছে। প্রযুক্তির সাথে উৎপাদনশীলতার সম্পর্কের কথা। প্রযুক্তির সাথে জনগণের সংযুক্তি বাড়লে তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ে। ফলে তৈরি হয় নতুন নতুন কর্মোদ্যোগ। সৃষ্টি হয় নতুন কাজের সুযােগ। এর ফলে কর্মসৃজন ও কর্মপ্রাপ্তির এক নতুন জগৎ সৃষ্টি হয়। সামগ্রিকভাবে দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।


প্রশ্ন-১ কর্মসৃজন ও কর্ম প্রত্যাশীদের কাজের সুযােগ প্রাপ্তিতে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি কী ভূমিকা পালন করে বলে তুমি মনে করাে? 

উত্তর: বর্তমানে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বিশ্বে কর্মসৃজন ও কর্ম প্রাপ্তি এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিপুল বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ একটি হলাে নতুন কাজের সুযােগ সৃষ্টি। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ফলে কিছু কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে বা বেশ কিছু কাজের ধারা পরিবর্তিত হয়েছে বটে, তবে অসংখ্য নতুন কাজের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি এক হাজার ইন্টারনেট সংযােগের ফলে নতুন ৮০টি কাজের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ এখন ঘরে বসেও তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির কল্যাণে আয় করতে পারছে। সুতরাং বলা যায়, কর্মসৃজন ও কর্ম প্রাপ্তিতে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


প্রশ্ন: বাংলাদেশে মােবাইল ফোনের বিস্তার কীভাবে নতুন কর্ম সৃজনের দিগন্ত উন্মােচন করেছে? সংক্ষেপে লেখ।

 উত্তর: তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির প্রয়ােগের ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রযুক্তিতে জনগণের সংযুক্তি বাড়ে। ফলে সৃষ্টি করে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। তদুপ বাংলাদেশে মােবাইল ফোনের বিস্তার-এ নতুন কর্ম সৃজনের দিগন্ত উন্মােচন হয়েছে। নিম্নে সংক্ষেপে লেখা হলাে:

 ক, মােবাইল কোম্পানিতে কাজের সুযােগ: দেশের প্রায় ৯টি | মােবাইল অপারেটর কোম্পানিতে বিপুলসংখ্যক কর্মীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। মােবাইল কোম্পানিই বর্তমান দেশের প্রযুক্তি বিষয়ক কোম্পানি। 

খ, মােবাইল ফোনসেট বিক্রয়, বিপনন ও রক্ষণাবেক্ষণ: দেশের প্রায় ১২ কোটি মােবাইল গ্রাহককে মােবাইল ফোন সেট সরবরাহ, সেগুলাের বিপনন, ইত্যাদি বিভিন্ন মানের সেবার জন্য বিপুল পরিমাণ কমীর চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। 

গ, বিভিন্ন মােবাইল সেবা প্রদান: বর্তমানে মােবাইলে নতুন নতুন | সুযােগ সুবিধা যুক্ত হওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন মােবাইল সেবাকেন্দ্র। ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘ, নতুন খাতের সৃষ্টি: মােবাইলে প্রযুক্তি বিস্তারের ফলে মােবাইল ব্যাংকিংয়ের মতাে অসংখ্য নতুন খাতের সৃষ্টি হয়েছে। যার মাধ্যমে অনেক নতুন কর্মপ্রত্যাশীর কর্মসংস্থানের সুযােগ হয়েছে।



তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে একজন কর্মী তার কর্মে অনেক দক্ষ হয়ে ওঠে'- উক্তিটি বুঝিয়ে লিখ। 



উত্তর: তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে একজন কর্মী অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে। প্রযুক্তির কারণে অনেক কাজের ধরণ প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। ফলে একজন কর্মীর দক্ষ হয়ে ওঠার পেছনে নিচের বিষয়গুলাে ভূমিকা রাখে।

 • তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকার জন্য নিজেকে ক্রমাগত দক্ষ করে তুলতে হয়। ফলে দক্ষতা উন্নয়নের কর্মসূচিগুলােতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক ধরনের কাজ ঘরে বসেই করা সম্ভব হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পূর্বে বিশেষ দক্ষতা না থাকলে যে কাজ সম্পন্ন করা যেত না, এরূপ অনেক কাজ কম্পিউটারের সহায়তায় সহজে সম্পন্ন করা যাচ্ছে। যেমন ফটোগ্রাফি বা ভিডিও এডিটিং। অনেকে ঘরে বসে কাজ করছে। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন ভার্চুয়াল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানে সহায়ক কর্মীর সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনি তাদের কাজের
ধরনও পাল্টে গেছে।

 • স্বয়ংক্রিয়ভাবে মনিটরিং করা সম্ভব হওয়াতে কর্মীদের কাজে ফাকি দেওয়ার প্রবণতাও ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।



 প্রশ্ন গবেষণাগার ক্ষেত্রে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: তথ্য প্রযুক্তির কারণে গবেষণার জগতে শুধু যে একটা বিশাল উন্নতি হয়েছে তা নয় বলা যেতে পারে এখানে সম্পূর্ণ নতুন একটা মাত্রা যােগ হয়েছে। মানুষ এখন সাহিত্য, শিল্প বা সমাজবিজ্ঞান অথবা গণিত, প্রযুক্তি আর বিজ্ঞান, যা নিয়েই গবেষণা করুক না কেন তারা কম্পিউটার এবং তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া সেই গবেষণার কথা চিন্তাও করতে পারে না। বর্তমানে সকল বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ড কম্পিউটারের ওপর নিরশীল। পদার্থে স্বণু-পরমাণুর গঠন প্রকৃতি, রাসায়নিক দ্রব্যের বিচার বিশ্লেষণে, জটিল গাণিতিক হিসাব-নিকাশে, প্রাণিকোষের গঠন প্রকৃতি বিশ্লেষণে, ঔষধের মান নিয়ন্ত্রণে, সূর্যের আলােকমণ্ডল ও বর্ণমণ্ডলের মৌলিক পদার্থের অবস্থান নির্ণয়ে কম্পিউটার একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। মহাকাশযান ডিজাইন, পাঠানাের পরিকল্পনা ও বাস্তাবয়ন কম্পিউটার দ্বারা দ্রুত সমাধান করা হয়।



প্রশ্ন ঃ যােগাযােগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির গুরুত্ব - ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : যােগাযােগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বর্তমানে | অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নয়নের ফলে বদলে | পেয়ে যােগাযােগের ধরণ। ব্রডকাস্ট পদ্ধতির সাহায্যে রেডিও বা টেলিভিশন যােগাযােগের অন্যতম প্রযুক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্টারনেট ভিত্তিক কাগজ ও ম্যাগাজিন ব্রডকাস্ট যােগাযােগের উদাহরণ। দ্বিমুখী যােগাযােগের ক্ষেত্রে টেলিফোন, মােবাইল ও ইন্টারনেট বর্তমানে বহুল প্রচলিত। তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের নতুন একটি পরিচয় হলাে ই-মেইল এড্রেস। কয়েকটি অক্ষর দিয়ে একটি ই-মেইল এড্রেস তৈরি হয় এবং এটি দিয়ে পৃথিবীর যেকোনাে জায়গা থেকে যােগাযােগ করা যায়। পৃথিবীর মানুষের ভেতর এখন যােগাযােগের বেশির ভাগই হয়ে | থাকে ই-মেইলের সাহায্যে। আজকাল সামাজিক যােগাযােগের | নতুন একটি বিষয় শুরু হয়েছে। এটি একই সাথে একমুখী ব্রডকাস্ট | এবং দুইমুখী ব্যক্তিগত যােগাযােগ। এই সামাজিক নেটওয়ার্ক করে আজকাল একজন একসাথে অনেকের সাথে যোগাযােগ করতে পারে, সংগঠিত হতে পারে। কাজেই তথ্যপ্রযুক্তি সারা পৃথিবীর সকল মানুষের ভেতর যােগাযােগটা বাড়িয়ে দিয়ে একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম দিতে শুরু করেছে। যেখানে ভার্চুয়াল (Virtual) জগতে সবাই সবার পাশে পাড়িয়ে আছে। 


 প্রশ্ন ঃ ব্যবসা-বাণিজ্যে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির প্রভাব উল্লেখ করে।

উত্তর: জীবনের অন্য সকল ক্ষেত্রের মতাে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বা আইসিটির প্রয়ােগ ব্যবসা-বাণিজ্যে আমূল পরিবর্তনের সূচনা করেছে। যেকোনাে ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য থাকে কম সময়ে | এবং কম খরচে পণ্য বা সেবা উৎপাদন করা এবং দুততম সময়ে তা ভােক্তার কাছে পৌছে দেওয়া। পণ্যের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে উৎপাদনের কাজে নিয়ােজিত কর্মীদের ব্যবস্থাপনা, তাদের দক্ষতার মান উন্নয়ন, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, বিপণন এবং সবশেষে পণ্য বা সেবার বিনিময় মূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আইসিটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যারের সমন্বিত এবং উদ্ভাবনী প্রয়ােগের মাধ্যমে ব্যবসায়ীগণ তাদের ব্যবসার উন্নয়নের পাশাপাশি মুনাফাও বাড়াতে পারে। তাই বলা যায় ব্যবসা-বাণিজ্যে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির প্রভাব সময়ােপযােগী ও গুরুত্বপূর্ণ। 




চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির অবদান ব্যাখ্যা কর।



 উত্তর: চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য ও যােগায্যে প্রয়ুক্তির ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের দ্বারা রােগ নির্ণয় ও ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হয়। ফলে ভুল হবার সম্ভাবনা কম থাকে। রােগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার পাওয়া যায়। রােগীর সব লক্ষণ ও রক্ত, মূত্র ইত্যাদি পরীক্ষার ফল কম্পিউটারে ইনপুট | দিলে কম্পিউটার উভয়ের তুলনা করে সম্ভাব্য লােগ বলে দেয়। | এছাড়া কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত স্ক্যানার মস্তিষ্ক ও শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট সূক্ষ্মভাবে বিচার করে কোথাও কোনাে অস্বাভাবিকতা আছে কিনা বা থাকলে কী ধরনের অস্বাভাবিকতা আছে তা বলে দিতে পারে। চিকিৎসা ছাড়াও হাসপাতাল ও ক্লিনিকের প্রশাসনিক দক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য কম্পিউটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে ক্যান্সার রােগের চিকিৎসা ও টিউমারের গঠন প্রকৃতি সম্পর্কে কম্পিউটারের সাহায্যে গবেষণা কাজ করা হয়। এছাড়া চোখের ক্ষমতা নির্ণয়, এক্স-রে ইত্যাদি অনেক পরীক্ষায় কাজ কম্পিউটর নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সাহায্যে করা হয়। সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সিং, ইন্টারনেট ইত্যাদি প্রযুক্তির সাহায্যে বহু দূরবর্তী স্থান থেকেও চিকিৎসা সুযােপ প্রদান ও গ্রহণ করা শুরু হয়েছে।




 প্রশ্ন ঃ সরকারি কর্মকাণ্ডে আইসিটি-এর প্রয়ােগ লেখ।


উত্তর: ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় অফিস আদালতে আইসিটি ব্যবহারের | উপর গুরুত্ব আরােপ করেছেন। যাতে করে দেশের নাগরিক সেবা স্বচ্ছ ও সহজতর হয়। নিম্নে বিভিন্ন ধরনের সরকারি নাগরিক সেবার বর্ণনা দেওয়া হলাে :


 ক, জাতীয় ওয়েব পাের্টাল : সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের
গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক তথ্য ও দিক নির্দেশনা এবং চাকুরির খবর জাতীয় ওয়েব পাের্টালে পাবলিশ করে থাকে। যা সহজেই জনগণের কাছে তথ্য পৌছে যায়। এরুপ ওয়েব পাের্টালের নাম হচ্ছে
www.bangladesh.gov.bd. 


খ, ই-পৰ্চা ; জমি-জমা সংক্রান্ত বিভিন্ন দলিল এর সমস্যা ও
দূর্নীতির রােধ করার জন্য সরকার ই-পৰ্চা সেবা চালু
করেছেন। বর্তমানে দেশের ৩৪টি জেলায় ই-সেবা কেন্দ্র ' থেকে জমির প্রয়ােজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারে। \

গ, ই-বুক : স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার সকল পাঠ্যপুস্তক
অনলাইনে সহজে প্রাপ্তির জন্য সরকারিভাবে একটি ই-বুক
প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন। যেমন– www.ebook.gov.bd. 

ঘ, ই-পুঞ্জি : আখ চাষিদের জন্য চিনিকলের পুর্জি (ইক্ষু
সরবরাহের অনুমতিপত্র) স্বয়ংক্রিয়করণ করার লক্ষ্যে ই-পুঞ্জি
সেবা চালু করা হয়েছে। 

ঙ, ই-স্বাস্থ্যসেবা : প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্জলে যেখানে কোনাে
স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নেই, সেখানে জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেওয়ার জন্য টেলিমেডিসিন সেবা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। সরাসরি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে।

 শুধু তাই নয়, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বেশিরভাগ কাজ আজ আইসিটি নির্ভর। কর্মসৃজন-কৰ্মপ্রাপ্তি, যােগাযােগ, ব্যবসা, সরকারি কাজ, চিকিৎসা, গবেষণা— সব কিছু আজ আইসিটি দ্বারা প্রভাবিত। মানুষ আইসিটিকে ভিত্তি করে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করছে। পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই বলা যায়, আইসিটি বিশ্বকে খুব সহজেই পরিবর্তন করতে পারে।


প্রশ্ন “আইসিটি যােগাযােগের ক্ষেত্রকে করেছে সহজ”ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: যােগাযােগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বর্তমানে অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নয়নের ফলে বদলে গেছে যােগাযােগের ধরণ। ব্রডকাস্ট পদ্ধতির সাহায্যে রেডিও বা টেলিভিশন যােগাযােগের অন্যতম প্রযুক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্টারনেট ভিত্তিক কাগজ ও ম্যাগাজিন ব্রডকাস্ট যােগাযােগের উদাহরণ। দ্বিমুখী যােগাযােগের ক্ষেত্রে টেলিফোন, মােবাইল ও ইন্টারনেট বর্তমানে বহুল প্রচলিত। তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের নতুন একটি পরিচয় হলাে ই-মেইল এড্রেস। কয়েকটি অক্ষর দিয়ে একটি ই-মেইল এড্রেস তৈরি হয় এবং এটি দিয়ে পৃথিবীর যেকোনাে জায়গা থেকে যােগাযােগ করা যায়। পৃথিবীর মানুষের ভেতর এখন যােগাযােপের বেশির ভাগই হয়ে থাকে ই-মেইলের সাহায্যে। আজকাল সামাজিক যােগাযােগের নতুন একটি বিষয় শুরু হয়েছে। এটি একই সাথে একমুখী ব্রডকাস্ট এবং দুইমুখী ব্যক্তিগত যােগাযােগ। এই সামাজিক নেটওয়ার্ক করে আজকাল একজন একসাথে অনেকের সাথে | যােগাযােগ করতে পারে, সংগঠিত হতে পারে। কাজেই তথ্যপ্রযুক্তি সারা পৃথিবীর সকল মানুষের ভেতর যােগাযযাগটা বাড়িয়ে দিয়ে একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম দিতে শুরু করেছে। যেখানে ভার্চুয়াল (Virtual) জগতে সবাই সবার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।

No comments:

ads
Powered by Blogger.