ads

অষ্টম শ্রেণি ICT ৩য় অধ্যায় Chapter three ICT class-8


সফটওয়্যার কি?

সফটওয়্যার হলো কিছু ডাটা ও কম্পিউটার এর নির্দেশ সম্বলিত একটা মিশ্রণ যা প্রোগ্রাম হিসাবে কম্পিউটার কে কাজ করার নির্দেশ দেয়। একটি কম্পিউটার কিভাবে কাজ করবে ও কি কাজ করবে তা সফটওয়্যার নির্দেশ দেয়। 


সফটওয়্যার কত প্রকার?

সফটওয়্যার মূলত দুই প্রকার:-

১। সিস্টেম সফটওয়্যার (System Software)

২। এপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Application Software)


সিস্টেম সফটওয়্যার

সিস্টেম সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের কার্যক্রম এবং ফাংশন সমন্বয় করে। এটি কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং অন্য সব ধরনের সফটওয়্যার কাজ করার জন্য একটি পরিবেশ বা প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। কম্পিউটারের মনিটর, কিবোর্ড, মাউস কেমন ভাবে কাজ করবে সব তথ্য সিস্টেম সফটওয়্যার এর মধ্যে দেওয়া রয়েছে। 

 এপ্লিকেশন সফটওয়্যার 

যে সকল কম্পিউটার সফটওয়্যার মানুষকে কোন বিশেষ ধরনের কাজ সম্পাদন করতে সাহায্য করে সে সকল কম্পিউটার সফটওয়্যার কে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার  বলে। একে শুধু অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপ (App) ডাকা হয়ে থাকে।

এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর উদাহরণ হল ঃ 


• Microsoft word

• Google Chrome

• Firefox

• Skype

 • Photoshop

• Microsoft Access

• windows media player ইত্যাদি।



আরও পড়ুন ঃ

আইসিটি ক্লাস-৮, ১ম অধ্যায়



ফায়ারওয়াল কী

অপারেটিং সিস্টেম তথা কম্পিউটারকে রক্ষার জন্য এক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যাকে ফায়ারওয়াল বলা হয়। ফায়ারওয়াল বাইরের আক্রমণ থেকে এক বা একাধিক কম্পিউটার কে রক্ষা করার জন্য হার্ডওয়্যার আর সফটওয়্যার এর মিলিত প্রয়াস।ফায়ারওয়ালের মৌলিক উদ্দেশ্য হল আপনার নেটওয়ার্ক কে অপরিচিত থেকে ব্রাউজ করা থেকে রক্ষা করা। 


কিভাবে একটি ফায়ারওয়াল কাজ করে?

ট্র্যাফিক সীমিত করার জন্য ফায়ারওয়াল দ্বারা ব্যবহৃত মূলত চারটি প্রক্রিয়া রয়েছে। একটি ডিভাইস বা অ্যাপ্লিকেশন গভীরতার সুরক্ষার জন্য এইগুলির মধ্যে একটির বেশি ব্যবহার করতে পারে। চারটি প্রক্রিয়া হচ্ছে প্যাকেট ফিল্টারিং, সার্কিট-লেভেল গেটওয়ে, প্রক্সি সার্ভার এবং অ্যাপ্লিকেশন গেটওয়ে।


প্যাকেট ফিল্টারিং

একটি প্যাকেট ফিল্টার নেটওয়ার্ক থেকে এবং সমস্ত ট্রাফিক আটকায় এবং আপনার প্রদান করা নিয়মগুলির বিরুদ্ধে এটি মূল্যায়ন করে। সাধারণত প্যাকেট ফিল্টার সোর্স আইপি অ্যাড্রেস, সোর্স পোর্ট, গন্তব্য আইপি ঠিকানা এবং গন্তব্য পোর্টের মূল্যায়ন করতে পারে।

সার্কিট-স্তরের গেটওয়ে

একটি সার্কিট লেভেলের গেটওয়ে কোনও হোস্টে সমস্ত ইনকামিং ট্রাফিকগুলিকে ব্লক করে কিন্তু নিজেই নিজেই। অভ্যন্তরীণভাবে, ক্লায়েন্ট মেশিন সফটওয়্যার চালায় যাতে তারা সার্কিট-লেভেল গেটওয়ে মেশিনের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। 

প্রক্সি সার্ভার

একটি প্রক্সি সার্ভার সাধারণত নেটওয়ার্কে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সঞ্চালিত হয়, তবে এটি ফায়ারওয়ালের একটি ধরণের হিসাবেও কাজ করতে পারে। প্রক্সি সার্ভারগুলি আপনার অভ্যন্তরীণ ঠিকানা গোপন করে যাতে সমস্ত যোগাযোগ প্রক্সি সার্ভার থেকে নিজেই উদ্ভূত হয়। আপনি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটগুলিতে অ্যাক্সেস অবরোধ করতে একটি প্রক্সি সার্ভার কনফিগার করতে পারেন এবং আপনার অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক রক্ষা করতে নির্দিষ্ট পোর্ট ট্র্যাফিকটি ফিল্টার করতে পারেন।


অ্যাপ্লিকেশন গেটওয়ে

একটি অ্যাপ্লিকেশন গেটওয়ে মূলত অন্য ধরণের প্রক্সি সার্ভার। অভ্যন্তরীণ ক্লায়েন্ট প্রথম অ্যাপ্লিকেশন গেটওয়ে সঙ্গে একটি সংযোগ স্থাপন করে। অ্যাপ্লিকেশন গেটওয়ে নির্ধারণ করে যে সংযোগটি অনুমোদিত বা না হওয়া উচিত এবং তারপর গন্তব্য কম্পিউটারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। সমস্ত যোগাযোগ গন্তব্যের প্রবেশ দরপত্র এবং অ্যাপ্লিকেশন গেটওয়ে থেকে দুটি সংযোগ ক্লায়েন্টের মধ্য দিয়ে যায়। আবেদন গেটওয়ের এটি ফরওয়ার্ড কিনা তা নির্ধারণ করার আগে তার নিয়মগুলির বিরুদ্ধে সমস্ত ট্রাফিক নিরীক্ষণ করে। 


ক্যাপচা কী

সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষ এবং কম্পিউটার এর মধ্যে পার্থক্য যাচাইকরণের প্রক্রিয়া হল ক্যাপচা। মানুষ ও রোবট কে আলাদা ভাবে সনাক্ত করার জন্য এক ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় এই পদ্ধতিকে ক্যাপচা (Captcha )বলে ।

ক্যাপচা কেন ব্যবহার হয়?

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেটওয়ার্কের ভিতর দিয়ে যাবার সময় পাসওয়ার্ড দেওয়া হয় । পাসওয়ার্ডটি এমন ভাবে দেওয়া হয় কেউ যেন সেটি সহজে অনুমান করতে না পারে । কিন্তু পাসওয়ার্ড বের করে ফেলার জন্য বিশেষ কম্পিউটার বা বিশেষ রোবট তৈরী হয়েছে। এগুলি সারাক্ষণই সম্ভাব্য সকল পাসওয়ার্ড দিয়ে চেষ্টা করতে থাকে, যতক্ষণ না সঠিক পাসওয়ার্ডটি বের হয় । রোবট যাতে ঢুকতে না পারে সে জন্য পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরও একটি বিশেষ লেখা পড়ে টাইপ করে দিতে হয় । একজন সত্যিকার মানুষ যেটি সহজেই বুঝতে পারে কিন্তু রোবট তা বুঝতে পারে না। মানুষ এবং যন্ত্রকে আলাদা করার এই পদ্ধতিকে ক্যপচা বলে।(উইকিপিডিয়া)


হ্যাকিং কি বা কাকে বলে?

হ্যাকিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে তথ্য বা ফাইল চুরি বা পরিবর্তন করার জন্য কেউ কোন বৈধ অনুমতি ছাড়া কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে। যারা এ হ্যাকিং করে তারা হচ্ছে হ্যাকার। হ্যাকিং  হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কম্পিউটার এর কিছু দুর্বলতা খোঁজ করা এবং সেই দুর্বলতা গুলোর লাভ নিয়ে কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করা। এভাবে একটি কম্পিউটারে প্রবেশ করে সেই কম্পিউটারের ফাইল, ডাটা, তথ্য ইত্যাদি চুরি করা বা নষ্ট করাকে হ্যাকিং বলে।


হ্যাকাররা এই ভাবে কম্পিউটার গুলোর তথ্য চুরি করে কম্পিউটার মালিকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে।


হ্যাকিং কত প্রকার ও কি কি ?

৩ প্রকার ঃ

১।হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার (White hat hacker)

২।ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার (Black hat hacker)

৩।গ্রে হ্যাট হ্যাকার (Grey hat hacker)

1. White hat hacker – হ্যাকিং এর মাধ্যমে ভালো কাজ করা হ্যাকারদের white hat hacker বলে। একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করে এবং ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিকে ত্রুটি দ্রুত জানায়।

2. Black hat hacker – যেসকল হ্যাকাররা খারাপ কাজ করার উদ্দেশ্যে হ্যাকিং করে তাদেরকে black hat hacker বলে।এরা কোন একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করলে দ্রুত ঐ ত্রুটি কে নিজের স্বার্থে কাজে লাগায়। ঐ সিস্টেম নষ্ট করে। বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়।

3. Grey hat hacker – আবার যে হ্যাকার ভালো কাজ এবং খারাপ কাজ দুই ধরনের কাজ গুলো করে থাকে তাদেরকে grey hat hacker বলে। একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করে তখন সে তার মন মত কাজ করবে। তার মন ঐ সময় কি চায় সে তাই করবে। সে ইচ্ছে করলে ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিকে ত্রুটি জানাতে ও পারে অথবা ইনফরমেশন গুলো দেখতে পারে বা নষ্ট ও করতে পারে।


কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি?

একটি কম্পিউটারের সাথে অন্য একটি কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপনের কারণে কানেকশন তৈরি হয়  এবং সেই  সেই কানেকশনকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করা যায় তাকে নেটওয়ার্ক বলে।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অনেক ভাবে ভাগ করা যায়।  কিন্তু প্রধানত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে চার ভাগে ভাগ করা যায়।  যেমনঃ


১। PAN (Personal Area Network)

২। LAN{ (Local Area Network)

৩। MAN (Metropolitan Area Network)

৪। WAN (Wide Area Network)

 পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্কঃ

ব্যক্তিগত ব্যবহার করার জন্য বা ব্যক্তিগত তথ্য আদান-প্রদান করার জন্য যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তাকে পার্সোনাল নেটওয়ার্ক এরিয়া বা PAN বলে।

এ  ধরনের নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য প্রয়োজন দুটি কম্পিউটার। এছাড়া ব্লুটুথ এর মাধ্যমে পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।  আর এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, প্রিন্টার, ফ্যাক্স মেশিন, ডিজিটাল ক্যামেরা, নোটবুক ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়।


LAN{ (Local Area Network) বা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কঃ

দুই বা একাধিক কম্পিউটার এর মধ্যে ১০০  মিটার বা তার কম এরিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তাকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা LAN বলে।

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপন করার জন্য কোএক্সিয়াল ক্যাবল এবং টুইস্টেড ক্যাব এর ব্যবহার করা হয়।


MAN (Metropolitan Area Network) বা মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্কঃ

এক বা একাধিক কম্পিউটারে কমিউনিকেটিং ডিভাইস ব্যবহার করে একটি মেট্রোপলিটন শহরের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে  সংযোগ প্রদান করার মাধ্যমে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তাকে মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বা MAN  বলে।


WAN (Wide Area Network) বা ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কঃ

একাধিক কম্পিউটার বা ডিভাইসের মাধ্যমে টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপন করার ফলে একাধিক শহর বা একটি দেশ বা সম্পূর্ণ পৃথিবী জুড়ে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তাকে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা WAN বলে।



ডাটাবেজ কি  

ডাটাবেজ হলো একটি তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা, যেখানে তথ্য প্রথমে সংগ্রহ করা হয়, সেগুলিকে জমা রাখা হয়, এবং প্রয়োজন বিশেষে সেখান থেকে সংযোগ করা যায়।.ডাটাবেসের ডাটা প্রসেস এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারি নির্দিষ্ট ডাটাগুলি কি প্রকৃতির ও তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।

ডাটাবেজ কিভাবে কাজ করে?

**ডাটাবেজ গুলিকে বিভিন্ন হিসেব-নিকেশ এর কাজে ব্যবহার করা  হয়। যেমনঃ বার্ষিক রিপোর্ট, বিভিন্ন স্কুল কলেজের পরীক্ষার ফলাফল তৈরি ও সংরক্ষণ ইত্যাদি।

** ডাটাবেজ এর মুল কাজ হলো, দ্রুত গতিতে ডাটার খোঁজ করা এবং সর্বাধিক নিরাপদ উপায়ে ডাটা সংরক্ষণ করা ইত্যাদি। সেই সমস্ত ক্ষেত্রে ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অপরিহার্য যেখানে একই সময় একাধিক ব্যবহারকারী একই ডাটা ব্যবহার করে থাকেন।


ডাটা সেন্টার কি?

 অনলাইনের সকল ফাইল সংরক্ষন কারি কম্পিউটারকে বলা হয় সার্ভার। মুলত এই সকল সার্ভার এক সাথে যে যায়গায় সম্মিলিত ভাবে রাখা হয় তাকেই ডাটা সেন্টার বলা হয়।

ডাটা সেন্টারের কাজ – 

অনলাইনে প্রতিটি বড় বড় সাইটের নিজেস্ব সার্ভার রয়েছে যার মাধ্যমে তারা সকলের কাছে তাদের তথ্য প্রচার করেন। যেমন ধরুন গুগলের নিজেস্ব ডাটা সেন্টার রয়েছে, যেখানে আপনার গুগলের ইমেইল, পাসোয়ার্ড এছাড়াও যদি আপনি গুগল ড্রাইভে কিছু রাখেন তাহলে তা সেভ হয়ে থাকে।

ডাটা সেন্টারে মূলত অনেক বেশি তথ্য জমা থাকে। ডাটা সেন্টার তৈরি করা হয় বাণিজ্যিকভাবে। অর্থাৎ একটা কোম্পানির ডাটা সেন্টার তৈরি করে সেখানে যে স্টোরে আছো সেই স্টোরের বিভিন্ন অংশ ছোট ছোট বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করে তাদের ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য। 



কম্পিউটার ভাইরাস কি? 

কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের সফটওয়্যার যা তথ্য ও উপাত্তকে আক্রমন করে এবং নিজের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ও ক্ষতি করে। কম্পিউটার ভাইরাস এমন এক ধরনের ফাইল বা প্রোগ্রাম যেগুলো কম্পিউটারের স্বাভাবিক ফাইল বা প্রোগ্রামকে নষ্ট করে দিতে পারে। ইহা ব্যবহারকারীর অনুমতি ব্যতীত নিজেরা নিজেদের কপি তৈরি করতে পারে। সাধারণত সিডি, পেনড্রাইভ ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভাইরাস এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ছড়িয়ে পড়ে। 

ভাইরাসের নামঃ

মেলিসা (Melissa)

আইলাভইউ (ILOVEYOU)

দ্য ক্লেজ ভাইরাস (The Klez Virus

কোড রেড ও কোড রেড-২ (Code Red and Code Red II

নিমডা (Nimda)

এস কিউ এল স্ল্যামার

মাইডুম (MyDoom)

 স্টর্ম ওয়ার্ম (Storm Worm)

ক্রিপ্টোলকার (Cryptolocker)


এন্টিভাইরাস কি? 

 এন্টিভাইরাস হলো এক ধরনের প্রোগাম যা কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত করে কম্পিউটারকে সচল রাখে।

কম্পিউটারের ভাইরাসকে প্রতিরোধ বা মেরে ফেলার জন্য এন্টিভাইরাস ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে  এন্টিভাইরাস এর কাজ হলো কম্পিউটার এর সমস্ত ভাইরাস কে স্ক্যান করে সেগুলি ডিভাইস থেকে দূর করা এবং কম্পিউটার কে ভাইরাস এর আক্রমন থেকে প্রতিরোধ করা। এছাড়াও এন্টিভাইরাস অনলাইনে যাবতীয় কাজকর্ম ও অনলাইন থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করার সময়, সেই ফাইলে ভাইরাস আছে কিনা সেটি যাচাই পূর্বক ডাউনলোড হওয়ার এক্সেস দেয়। অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় যে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর মূল কাজ ই হচ্ছে কম্পিউটারকে ভাইরাসমুক্ত করে সুরক্ষিত রাখা।

 ১০টি ফ্রি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ঃ


Avast Antivirus 

Adaware Antivirus 

AVG Antivirus

Avira Antivirus

Amiti Antivirus

Immunet

Forticlient

Bitdefender Antivirus 

Baidu Antivirus 

Comodo Antivirus 


ভাইরাস আপনার কম্পিউটারে কী কী ক্ষতি করতে পারে?

আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে নিম্নলিখিত উপায়ে আপনার কম্পিউটারকে প্রভাবিত করতে পারেঃ


  • কম্পিউটারটি স্লো / ধিরে কাজ করবে।
  • ফাইলগুলোর ক্ষতি হয় বা ডিলিট হয়ে যায়। 
  • পুনরায় হার্ড ড্রাইভ ডিস্ক ফরম্যাট করতে হয়।
  • ঘন ঘন কম্পিউটার ক্রাশ হয়। 
  • তথ্য হ্রাস পায়।
  •  কম্পিউটার বা ইন্টারনেটে কোন কাজ করতে অসুবিধা হয় ইত্যাদি।


ম্যালওয়্যার কি?


“ম্যালওয়্যার” যার পুরো অর্থ ম্যালেসিয়াস সফটওয়্যার ,একধরনের কম্পিউটার কোড যা কোনও প্রোগ্রামযোগ্য ডিভাইস, সার্ভার বা নেটওয়ার্কের ক্ষতির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

ম্যালওয়্যার ও ভাইরাসের মধ্যে মূল পার্থক্য হল ম্যালওয়্যার নিজে নিজে ছড়াতে পারে নিজের কোড অন্য প্রোগ্রামের প্রবেশ করার মাধ্যমে ।


ম্যালওয়্যার ও ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য কি?

ভাইরাস কোন প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত থাকার মাধ্যমে অন্য কম্পিউটারে প্রবেশ করে। কমার্শিয়াল ইন্টারনেট এর যাত্রা শুরু থেকেই ভাইরাস এর যাত্রা শুরু । যেমনঃ পেন ড্রাইভ, ই-মেইল , ফেইক সাইট ইত্যাদি ।

এদের মধ্যে ম্যালওয়্যার বেশি বিপদজনক কারন এটি নিজে নিজে ছড়াতে পারে, একবার যদি আপনার পিসি তে অ্যাটাক করে তাহলে আপনার নেটওয়ার্ক এ সাথে সংযুক্ত সকল পিসিতে অ্যাটাক করার সম্ভাবনা থাকে।


পাঁচটি ম্যালওয়ার এর নাম লিখ

পাঁচ ধরণের ম্যালওয়ার:

Worms

Ransomware

Scareware

Adware and spyware

Fileless malware





• ভাইরাস এবং অ্যান্টিভাইরাস এর পার্থক্য কি?

• ভাইরাস এবং অ্যান্টিভাইরাস দুটি সম্পর্কে সবচেয়ে সাধারণ জিনিস হচ্ছে শব্দ ভাইরাস।

• ভাইরাস একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা নিজের কপি এবং আপনার কম্পিউটারকে সংক্রামিত করার ক্ষমতা রাখে।


• অ্যান্টিভাইরাস কম্পিউটার ভাইরাস, ক্রিমি, স্পাইওয়্যার, ট্রোজান ঘোড়া, অ্যাডওয়্যার এবং স্পাইওয়্যার প্রভৃতির মতো ম্যালওয়ার প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ এবং অপসারণে ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার।



ফেক ইনফরমেশন সমাজে কি ক্ষতি করে?

সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য, ভুল তথ্য, ভুয়া সংবাদ ও গুজব ব্যাপকভাবে পরিবেশিত হচ্ছে। ভুল তথ্য, গুজব ব্যক্তিমানস ও সমাজকে প্রভাবিত করে এবং নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গুজবের কারণে সহিংসতাসহ প্রাণহানি ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এমনকি দেশে ভীতিকর অবস্থাও সৃষ্টি হতে পারে।


No comments:

ads
Powered by Blogger.